অনেকেই জানেননা D-DOS অ্যাটাক কি। তাদের জন্যই আজকের এই পোস্ট
★D-DO*S এর পূর্ণ রূপ হচ্ছে Distributed Denial of Service ।
ধরুন, একটা ব্রিজে ধারন ক্ষমতা ১০০০ টি গাড়ি। কিন্তু ব্রিজটি’তে গাড়ি রাখা হলো ২০০০ টি। তবে ধারন ক্ষমতার থেকে অধিক পরিমান গাড়ি রাখার জন্য ব্রিজ টি নিশ্চয় ভেঙ্গে যাবে পড়ে যাবে! ডিডস জিনিস’টাও অনেকটা এই রকম। ডিডস এমন একটি সাইবার অ্যাটাক যার ফলে কোন ওয়েবসাইটকে অ্যাটাক করা হলে সেই সাইটটি যেকোনো ব্যবহারকারীকে অ্যাক্সেস প্রদান করা থেকে বিরত থাকবে।
একটি ডিভাইস এবং একটি ইন্টারনেট সংযোগ এর সাহায্যে নির্দিষ্ট একটা ওয়েবসাইট কিংবা সার্ভার কে সাময়িকভাবে বা অনির্দিষ্টকালের জন্য ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে ঐ ওয়েবসাইট কিংবা সার্ভারে কাউকে প্রবেশ করতে না দেয়া হচ্ছে Denial of Service Attack (DO*S) বা ডস অ্যাটাক।
আর একাধিক ডিভাইস এবং একাধিক ইন্টারনেট থেকে Denial of Service Attack করা হলে তাকে Distributed Denial of Service (DDo*S) Attack বলা হয় !!
ডিডস অ্যাটাকে হ্যাকার কোন সাইটকে অকেজো করার জন্য অনেকগুলো ডিভাইজ থেকে অনবরত আক্রমণ চালায়। ওয়েবসাইটের কাছে এতোবেশি রিকোয়েস্ট পাঠানো হয় যে, সার্ভার সেই রিকোয়েস্ট গুলোকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে না এবং সার্ভার থেকে প্রচুর পরিমানে ব্যান্ডউইথ সেই কারণে নষ্ট হয়ে যায়। তখন সাইট এক্সেস প্রদানে বিঘ্ন ঘটে ডাউন হয়ে যায়।
উদাহরণ দিয়ে বুঝাই,
মনে করুন বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ডের যে সাইটটা রয়েছে সেটায় দৈনিক ১২০০ মেগাবাইট ব্যান্ডউইডথ কেনা আছে। এই সাইটে দিনে ১৫ হাজার হিট হয় এবং সাধারণত ১০০০ মেগাবাইটের বেশি ব্যান্ড উইডথ দরকার হয় না।
এখন একজন আক্রমণকারী ঐ ওয়েবসাইটকে একটি স্ক্রিপ্ট লিখে অজস্র ভুয়া হিট করতে থাকলো.যার ফলে এক ঘণ্টারও কম সময়ে ২৫ হাজার হিট করে ১২০০ মেগাবাইটের সীমা অতিক্রম করে ফেলা হলো। মিনিমাম ব্যান্ডউইথ ক্রস করার কারনে এখন ঐ ওয়েবসাইটে আর ব্যবহারকারীদের কেউ ঢুকতে পারবেন না।
সাধারণত যখন কোন সাইটকে ডাউন করার জন্য মাত্র কয়েকটি কম্পিউটার থেকে আক্রমণ চালানো হয়, তখন সাইটটিকে অকেজো করা এতটাও সহজ হয় না। আর এসকল ছোট-খাট আক্রমনকে নিয়ন্ত্রন করার মতো ব্যবস্থা প্রায় সকল সার্ভার কোম্পানিরই থাকে, তারা সাধারনত অ্যাটাক আসা কম্পিউটারটিকে ব্লক করে এই পরিস্থিতি সহজেই সামলে নিতে পারে।
কিন্তু যখন একসাথে অনেকগুলো ডিভাইস থেকে আক্রমণ আসে তখন তা নিয়ন্ত্রণ নির্ধারিত সীমার বাইরে চলে যায়।
হ্যাকার একসাথে কয়েক হাজার বা লাখ কম্পিউটার থেকে ম্যালিসিয়াস ট্র্যাফিক বা ফ্লাডিং অনবরত পাঠাতে থাকে, তখন এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করা আয়ত্বের বাইরে চলে যায়। এবং স্বাভাবিক সব কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে।
এই অবস্থা’কেই মূলত ডিডস অ্যাটাক বলা হয়।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে হ্যাকার এতো লাখ লাখ ডিভাইস দিয়ে রিকুয়েস্ট পাঠায় কিভাবে?
-হ্যাকাররা বিভিন্ন ট্রোজানের মাধ্যমে আম-পাব্লিকের পিসি বা ডিভাইসের অ্যাক্সেস নিয়ে রাখে এবং প্রয়োজনানুসারে সেসব ডিভাইস দিয়ে কাজ চালায়।
আর ডিডস অ্যাটাকের জন্য হাই স্পিড নেট কানেকশন লাগে। অ্যাটাক চলাকালে ডিভাইসের প্রসেসর এবং র্যামের উপর অনেক চাপ পড়ে তাই স্বাভাবিক ভাবেই ডিভাইস গরম হয়ে যায়।
ডিডস অ্যাটাকের মাধ্যমে ফেসবুক, ইউটিউব ইত্যাদি জনপ্রিয় সাইট বাদে প্রায় সব ওয়েবসাইটই অকেজো করে ফেলা সম্ভব। ডিডস অ্যাটাক থেকে বাঁচার জন্য বড়বড় ওয়েবসাইট গুলো মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে তাদের ওয়াবসাইটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে।
★ডিডস অ্যাটাকের কারনঃ
ডিডস অ্যাটাক হ্যাকাররা ভালো-খারাপ উভয় করানেই করে থাকে।
ভালোঃ সম্প্রতি ফ্র্যান্স আমাদের নবী (সাঃ) এর ব্যাঙ্গচিত্র প্রকাশ করেছে
যেটা সকল মুসলিমের জন্য অত্যান্ত বেদনাদায়ক। তাদেরকে নোটিশ করার পরও তারা এটার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। এখন যদি হ্যাকাররা ফ্র্যান্সের বড় কোনো লেনদেন সাইট বা কোনো ব্যাংকের সাইটকে ডিডস অ্যাটাক দিয়ে ডাউন করাতে পারে কিছুক্ষণের জন্য তাহলেই ফ্র্যান্স অর্থনৈতিক ভাবে প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এভাবে সাইবার আক্রমণের শিকার হলে পরবর্তীতে কোনো দেশ এরকম কিছু করার আগে দুবার ভাববে।
খারাপঃ মনে করুন আপনি একটি বিজনেস সাইট খুলে সেটি দিয়ে বেশ লাভবান হচ্ছেন। বাট আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী বা শত্রুর এটি সহ্য হচ্ছেনা। তখন চাইলে সে ডিডস অ্যাটাক করে আপনার সাইটকে ডাউন করে দিয়ে আপনার ক্ষতি করতে পারবে।
#রিপোস্ট (২০ সালে আগের গ্রুপে পোস্টটি করা হয়েছিলো)
আর যারা অ্যান্ড্রয়েডে Termux এর মাধ্যমে DDo*S Attack দিতে চান তারা এই পোস্ট ফলো করুন
https://www.facebook.com/groups/242589267650518/permalink/253436663232445/?app=fbl
মনে রাখবেন, একা ডিডস দিলে কোনো লাভ হবেনা। এটি সম্পুর্ন টিম ওয়ার্ক। তাই অনেকজন একসাথে একটা সাইটকে টার্গেট করে অ্যাটাক দিবেন।
একসাথে বেশি প্যাকেট পাঠানোর জন্য টার্মাক্সে অনেকগুলো সেশন খুলে কাজ করবেন।
আপনার যদি হাই পারফরম্যান্স ফোন এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকে তাহলেই শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েডে ডিডসের কথা চিন্তা করবেন নয়তো নরমাল ফোনে ডিডস দিতে গেলে ফোন হ্যাং করতে পারে।
0 মন্তব্যসমূহ